• সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জৈষ্ঠ ১৪২৯

সারা দেশ

নবীনগরে সাব রেজিস্টার অফিসের সরকারি জায়গায় ঘর নির্মাণের অভিযোগ

  • ''
  • প্রকাশিত ০২ এপ্রিল ২০২৪

নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি:

ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগরে অবৈধভাবে সরকারি জায়গা দখল করে ব্যক্তিগত ব্যবসায়িক ঘর নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এলাকার সুশীল সমাজ গণ্যমান্য ব্যক্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর মৌখিক অভিযোগ করেছেন। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

সরজমিনে গিয়ে জানা যায়,বগডহর গ্রামের মোঃ জহির উদ্দিন (দলিল লেখক সনদ নং- ৪৯) নবীনগর সাব রেজিস্টার অফিসের প্রধান গেইটের ভিতরে অফিস সংলগ্ন সরকারি জায়গা দখল করে ঘর নির্মাণ করছেন।এই দলিল লেখকের এক ছেলে শামীম কবির নবীনগর উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি ও আরেক ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক  হওয়ায় ভয়ে কেউ কিছু বলছেননা। ধারণা করা হচ্ছে সেই ঘরে তাদের বাবার ব্যক্তিগত (মূহুরী)ব্যবসা চালু করলে উক্ত স্থানে আশপাশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে।ফলে নির্দিষ্ট জায়গায় দলিল লিখক অফিসের অন্য সকল দলিল লেখকসহ দূর থেকে আসা মানুষ দুর্ভোগে পড়বে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক দলিল লেখক বলেছেন, মোঃ জহির উদ্দিন দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও তার ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন ঐ কমিটির কোষাধ্যক্ষ,তাই দাপটের সাথে সরকার নির্ধারিত দুটি ঘরের মধ্যে অধিকাংশ জায়গা তাদের দখলে নিয়েছে। আবার নতুন করে ব্যক্তিগত ঘর তুলে পুরো অফিসের সৌন্দর্য ও শান্তি নষ্ট করেছে। নবীনগর সাব রেজিস্টার অফিসের দলিল লিখকের জন্য পূর্বে থেকেই সরকার নির্ধারিত লম্বালম্বি দুটি সাইড ওয়াল টিনশেড ঘর আছে, যার মধ্যে অধিকাংশ জায়গা বাপ-বেটার দখলে।

এ বিষয়ে মোঃ জহির উদ্দিন কালের কন্ঠ কে বলেন রেজিস্টার অফিসের বাউন্ডারি এরিয়ার ভিতরে বসে দলিল লেখার জন্য সাব রেজিস্টার ও ডিস্ট্রিক্ট রেজিস্টার আমাকে অনুমতি দিয়েছেন। তবে এক প্রশ্নে ঘর নির্মাণের অনুমতি আছে কিনা জবাবে কিছুক্ষণ নীরবতা পালন করে কিছু বলেননি তিনি।

নবীনগর সাব রেজিস্ট্রার মোঃ তফাজ্জল হোসেন বলেন বসে কাজ করার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা থেকে অনুমতি আছে। তবে 
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা রেজিস্টার সরকার লুৎফুল কবীর বলেন,স্থায়ী কোন নির্মাণের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়নি তবে একই ব্যক্তি একাধিক অফিসের টেবিলে বসলে অস্থায়ী নির্মানও করতে পারবে না।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর ফরহাদ শামিম বলেন,ঘর নির্মাণের ব্যাপারে সোশ্যাল মিডিয়ায় আমি দেখেছি , অফিসের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় আমি নিজে টিনের ঘর দেখেছি।যদি উপজেলা সাব রেজিস্টার লিখিতভাবে ঘর উচ্ছেদের আবেদন করেন আমরা তাকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করব।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads